MLM Business Control Law was passed in Parliament, এমএলএম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সংসদে আইন পাশ
বহুস্তর বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএলএম) কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে একটি আইন মতামতের জন্য
দুই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের।
‘ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১২’ নামের এ আইনের খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয় ও
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে মতামত পাওয়া গেলে খসড়া আইনটি
মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার সংসদ অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ
সদস্য তাজুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী
বলেন, “এমএলএম
প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের কাছে স্বপ্ন বিক্রি করছে। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে স্বপ্ন
দেখিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অনেককে নিঃস্ব করছে।”
তিনি জানান, এ ধরনের প্রায় ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের
নিবন্ধন রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতারণার অভিযোগ পাওয়ার পর নতুন করে নিবন্ধন
রাখা হয়েছে।
প্রচলিত আইনেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেওয়া সম্ভব উল্লেখ করে কাদের বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কী ধরনের
আইনী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
২৮০০ ডিলার
সরকারদলীয় সাংসদ এবিএম গোলাম মোস্তফার
তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে
(টিসিবি) অধীনে সারাদেশে দুই হাজার আটশত ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এসব ডিলারদের মাধ্যমে
গত ৬ মাসে ১৩ হাজার ৭৮২ মেট্রিক টন চিনি, ৭ হাজার ৩৮২ মেট্রিক টন মশুর ডাল, ৬শ মেট্রিক টন ছোলা, ৬শ মেট্রিক টন খেজুর ও ৩ লাখ ৫৩ হাজার
৪৩৪ লিটার সয়াবিল তেল সাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
৪০ দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি
মো. মনিরুল ইসলামের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের
জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪০টি দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি
স্বাক্ষর হয়েছে।
দেশগুলো হলো- আলজেরিয়া, ভুটান, ব্রাজিল, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া, লিবিয়া, মালয়শিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সেনেগাল, শ্রীলংকা, সুদান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উগান্ডা, জাম্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, চীন, বুলগেরিয়া, মায়ানমার, হাঙ্গেরি, রুমানিয়া, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, আলবেনিয়া, উজবেস্তান, মালি, জার্মানি, ইউক্রেন, বেলারুশ ও কম্বোডিয়া।
এছাড়া ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে রয়েছে
সাফটা চুক্তি। আপটা চুক্তি রয়েছে ভারত, শ্রীলংকা, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও লাওসের সঙ্গে। বিমসটেক
চুক্তি রয়েছে থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে। ডি-৮ চুক্তি রয়েছে পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়শিয়া ও নাইজেরিয়ার সঙ্গে। এছাড়াও
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে রয়েছে টিপিএস-ওআইসি নামক বাণিজ্যচুক্তি।
জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সাংসদ মো.
মুজিবুল হকের জবাবে কাদের জানান, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে সরকার
বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
চীন ২০১০-১১ সালে বাংলাদেশকে মোট ৪
হাজার ৭৮৮টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি জানান, চীনে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বৃদ্ধির
লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রদেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চীনের সাংহাইতে ৬ মাসব্যাপী
অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০১০-এ বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে। ওই পদক্ষেপের কারণে চীনে
বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানী ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
‘ভোজ্যতেলের বাজার নিুমুখী’
সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর তারকা
চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার
লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোজ্যতেলের উৎপাদন, পরিশোধক, আমদানিকারক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী
সংগঠন ও সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মতবিনিময় সভা করা হয়। এছাড়া গোয়েন্দা
সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়েও এ বিষয়ে পর্যালোচনা সভা করা হয়।
এসব সভায় পাওয়া সুপারিশগুলো বিবেচনায়
নিয়ে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভোজ্যতেলের বাজার বর্তমানে নিম্নমুখী
উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যাতে বাজারে অস্থিতিশীল
করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
“ভোজ্যতেল উৎপাদক, পরিবেশক ও আমদানিকারকদের নিবিড়ভাবে
পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমের সম্পূরক
প্রশ্নের জবাবে গোলাম কাদের বলেন, দেশের রপ্তানি আয় কমেনি। এ নিয়ে আশঙ্কার কিছু
নেই; ভয়েরও
কিছু দেখছি না।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ডেপুটি স্পিকার শওকত
আলীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠক শুরু হয়।
সুত্রঃ-বিডিনিউজ24
০৮/০২/২০১২